Client-Server মডেল হলো নেটওয়ার্ক ভিত্তিক যোগাযোগ স্থাপনের একটি সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই মডেলটি একটি বিতরণকৃত (distributed) সিস্টেমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যেখানে Client এবং Server বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে এবং একে অপরের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করে। এটি বিশেষ করে নেটওয়ার্কিং, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট, ওয়েব সার্ভিস, এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
Client:
Server:
Client এবং Server মডেলের কাজের ধাপগুলো সাধারণত নিম্নরূপ:
Server শুরু করা:
bind()
ফাংশনের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়।listen()
ফাংশন ব্যবহার করে ইনকামিং সংযোগের জন্য অপেক্ষা করে এবং এক বা একাধিক ক্লায়েন্টের সংযোগ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকে।Client শুরু করা:
connect()
ফাংশনের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করে।Connection Establishment:
accept()
ফাংশন ব্যবহার করে সেই সংযোগ গ্রহণ করে এবং একটি নতুন Socket তৈরি করে, যা ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়।Data Transfer:
send()
ফাংশনের মাধ্যমে সার্ভারের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে, এবং সার্ভার recv()
ফাংশনের মাধ্যমে সেই ডেটা গ্রহণ করতে পারে (বা উল্টোটি)।Connection Termination:
close()
ফাংশনের মাধ্যমে তাদের Socket বন্ধ করে দেয়।Client-Server মডেল নেটওয়ার্ক ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিষেবা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের পরিষেবায় ব্যবহৃত হয়, যেমন:
ওয়েব সার্ভিস:
ডাটাবেস সার্ভিস:
ইমেইল সার্ভিস:
ফাইল ট্রান্সফার সার্ভিস:
স্কেলেবিলিটি: Client-Server মডেল স্কেলেবল, অর্থাৎ এটি সহজেই বড় বা ছোট করা যায়। একটি সার্ভার একই সময়ে একাধিক ক্লায়েন্টকে সেবা দিতে পারে, এবং ক্লায়েন্টের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ: এই মডেল সার্ভারকে কেন্দ্র করে চলে, যা পরিষেবা এবং ডেটার কেন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
নেটওয়ার্ক দক্ষতা: সার্ভার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের রিসোর্স এবং পরিষেবা দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে সরবরাহ করতে পারে।
সহজতর মেইনটেনেন্স: সার্ভার সেন্ট্রালাইজড হওয়ায় মেইনটেনেন্স এবং আপডেট করা সহজ হয়। সার্ভার আপডেট বা পরিবর্তন করা হলে, ক্লায়েন্টদের কোনো পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।
সার্ভার ওভারলোড: একক সার্ভার অনেক বেশি ক্লায়েন্টের অনুরোধ হ্যান্ডেল করতে গেলে ওভারলোড হতে পারে, যা পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
নেটওয়ার্ক ডিপেনডেন্সি: ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে। যদি নেটওয়ার্ক সংযোগ দুর্বল হয় বা ব্যাহত হয়, তাহলে পরিষেবার গুণগত মান কমে যেতে পারে।
সার্ভার ডাউনটাইম: সার্ভার ডাউন হলে বা কোনো কারণে ঠিকমতো কাজ না করলে, সমস্ত ক্লায়েন্টই সমস্যায় পড়বে, কারণ সার্ভার ছাড়া তারা পরিষেবা পাবে না।
common.read_more